ইদ উপলক্ষে সংক্রমণ বৃদ্ধি সত্ত্বেও বিধি-নিষেধ শিথিল

করোনার ডেল্টা স্ট্রেন বাংলাদেশে যে আতঙ্ক তৈরি করেছিলো সেই আতঙ্কের জের ধরে দেশজুড়ে কড়া লকডাউন চলছিলো এতদিন কিন্তু ইদ উপলক্ষে এবার বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী ২১ জুলাই ইদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বা ১৫ জুলাই থেকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যান চলাচল শুরু করা হবে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে পরিষেবা হবে। ট্রেনের টিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোনও টিকেট বিক্রি হবে না। সোমবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

আরও পড়ুন: ১৫ থেকে ২৩ জুলাই শিথিল হচ্ছে সব, চলবে গণপরিবহন – Voktakantho

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকতে পারে শপিংমল ও দোকানপাট। ইদ উপলক্ষে শিথিল শাটডাউনের আটদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহণ। তবে এই সময়ে সরকারি অফিস ভারচুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস।

প্রধান তথ্য অফিসার এর মতে, করোনা মহামারি বিস্তার রুখতে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। আগামী ২১ জুলাই বাংলাদেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ইদুল আজহা।

প্রশাসনের আপ্রাণ চেষ্টা সত্বেও কিছুতেই থামছে না মৃত্যুমিছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তারপর লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ জুলাই করা হয়। লকডাউন চলাকালীন বিনা কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ায় কয়েকশো মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে খাবারের দোকান ও রেস্তরাঁ। তবে, কেউ রেস্তরাঁয় বসে খাবার খেতে পারবেন না। শুধুমাত্র অনলাইন অর্ডার ও টেক অ্যাওয়ে সেবা চালু থাকবে।এহেন সময়ে ইদ উপলক্ষে বিধিনিষেধ শিথিল করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।